নিকোলাস কোপার্নিকাস এর ছেলেবেলা এবং তার আবিষ্কার Nicolaus Copernicus' childhood and his discoveries

পোল্যান্ডের ভিস্টলা নদীর তীরবর্তী টোরুন নামক বন্দর-শহরে, আজ থেকে অনেক বছর আগে-১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মে ছিলেন তিনি ।



-:- জন্ম : ১৭৭৩ খ্রিস্টাব্দ -:- মৃত্যু : ১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দ -:-

নিকোলাস কোপার্নিকাস এর ছেলেবেলা এবং তার আবিষ্কার

পোল্যান্ডের ভিস্টলা নদীর তীরবর্তী টোরুন নামক বন্দর-শহরে, আজ থেকে অনেক বছর আগে-১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মে ছিলেন তিনি । যে পরিবারের হয়ে নিকোলাস পৃথিবীর আলো দেখেন, সেটি ছিল এক বণিক পরিবার। বণিক পরিবারের পুরুষেরা বছরের বেশিরভাগ সময় বাইরে বাইরে কাটান। মাথার ওপর কঠিন কঠোর কর্তব্যের বোঝা চাপানো থাকে তাঁদের। সেই সঙ্গে থাকে দেশজয়ের নেশা এবং থাকে অর্থ উপার্জনের তাগিদ। সব মিলিয়ে সে এক দারুণ ব্যস্ততার জীবন। বাবার সাথে তাই খুব একটা দেখা হত না শিশু নিকোলাসের বাবা বাণিজ্যে চলে যেতেন। যাবার আগে দুহাত ভরিয়ে দিতেন লজেন্স আর টফিতে। বলতেন, 'নিকোলাস, মন খারাপ করি না। ফিরে এসে অনেক নতুন নতুন গল্প শোনাব।' ধীরে ধীরে বাবার শরীরটা দুর থেকে আরও দূরে চলে যেত। টমটম গাড়ি চলে যাচ্ছে। ছোট নিকোলাস চোখ বন্ধ করছেন। গল্প শোনার লোভনীয় দিবাস্বপে টফি খেতে ভুলে যাচ্ছেন। ভাবছেন, কখন বাবা ফিরে আসবেন, আর শোনাবেন সেই সাত মাথাওয়ালা দৈত্যটার কথা—যে মানুষ গিলে ফেলতে পারে ! কিংবা উড়তে উড়তে যে হাঁস বদলে যায় এক সুন্দরী রাজকন্যাতে—তার গল্প।

বাবা শোনাতেন দেশ-বিদেশের সাগর আর বন্দরের কথা। স্তব্ধ বিস্ময়ে অবাক হয়ে শুনত ছেলেটি। চোখ বন্ধ করত, ভেসে যেত কল্পরাজ্যে। এভাবেই তার মনের মধ্যে এক অদ্ভুত আবেগণম্পৃক্ত জগতের জন্ম হয়েছিল। অন্য কেউ হলে হয়তো হতেন একজন কবি। ছোট্টবেলার এইসব স্মৃতিতে আচ্ছন্ন থাকতেন সারা জীবন। লিখতেন না দেখা ভূমিখণ্ডের কল্পিত কবিতা।

তাঁর বাবার গল্প বলার ভঙ্গিটি ছিল ভারি চমৎকার! দুর প্রাচ্যের কোথায়, কোন্ জননীর বুকফাটা আর্তনাদ তিনি শুনেছেন, নিখুঁতভাবে তা উপস্থাপিত করতেন ছেলের কাছে! হলেও হতে পারতেন একজন ঔপন্যাসিক। মানুষের জীবনের ওঠাপড়া, আশা আর নিরাশাকে পাথেয় করে লিখতেন মহান উপন্যাস। পৃথিবীর মানুষ যা পড়ে আনন্দ পেত।

নিকোলাস যে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী, শুধু বিজ্ঞানী বললে ভুল হবে। ওঁনার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর উনি পৌঁছে দিয়েছিলেন পৃথিবীর সর্বত্র। তখনকার সমাজে যা স্বয়ংসিদ্ধ বলে প্রতিষ্ঠিত, যাকে ঈশ্বরের মতো অভ্রান্ত বলে মনে করা হত, উনি তার বিরুদ্ধে অক্লেশে ঘোষণা করেছিলেন সীমাহীন জেহাদ। আর এভাবেই প্রগতিবাদী মানুষের ইতিহাসের সঙ্গে ওঁনার নাম জড়িয়ে আছে। স্বীকৃতি পেয়েছে বিরল প্রজাতির এক প্রবল ব্যক্তিত্ব রূপে।

দিন কেটে যেত–বর্ষা, শীত, বসন্ত। বাবা আসছেন না কেন? অভিমানী মন ছটফট করত। মায়ের সান্নিধ্যে আসার চেষ্টা করতেন। বেচারি মা, সংসারে কত কাজ তাঁর। কোত্থেকে তিনি সময় দেবেন এই ছোট্ট শিশুটিকে? একদিন ফুরিয়ে যেত প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ প্রহর। বাবা আসতেন। কত কী জিনিসপত্র এনেছেন তিনি নিকোলাসের জন্য। ছেলেটাকে সত্যিই ভালোবাসতেন বাবা। ভালোবাসতেন তাঁর সরল দুটি চোখের স্বপ্নমাখা চাউনি; ভালোবাসতেন তাঁর অবুঝপনা।

রাতের আঁধার ঘনিয়ে এলে ব্রহ্মদত্যি এসে ভয় দেখাবে না। এখন থেকে তিনি সত্যি সত্যি নিঃসঙ্গ হলেন।অনেকে বলে থাকেন, সেই বয়সেই নিকোলাস হয়ে উঠেছিলেন প্রতিবাদী। সামাজিক বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে রুমে দাঁড়াতে হবে ; দীর্ঘদিন ধরে সমাজপতিরা নানাভাবে মানুষকে : শোষণ করে এসেছেন, এবার তাঁদের শোষণের দিনের সারসান ঘটাতে হবে—এমনই একটা দৃঢ় প্রত্যয়ের জন্ম হয়েছিল বালক নিকোলাসর মনের মধ্যে।

বাড়ি ছেড়ে নিকোলাসরা চলে এলেন মামার বাড়িতে। মামা ছিলেন বাস্তববাদী। যে-কোনো বিশ্বাসের গভীরে প্রোথিত প্রকৃত সত্যের সন্ধান করা ছিল তাঁর স্বভাব। তিনি ছিলেন পোল্যান্ডের একজন বিশিষ্ট বিশপ! ধর্মের সঙ্গে মানুষের সাধারণ জীবনবোধকে মিশিয়ে দেওয়ার একটা অদ্ভুত প্রবণতা ছিল তাঁর। সে যুগের নিরিখে এটা কিন্তু একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা, বিশেষ করে ধর্মযাজকদের ক্ষেত্রে। ধর্মপ্রচারকেরা স্বভাবতই প্রাচীনপন্থী হয়ে থাকেন। সমাজের বুকে ঘটে যাওয়া যে-কোনো বিপ্লবাত্মক ঘটনা ক তাঁরা নিন্দা করেন। তাঁরা নিজেদের ঈশ্বরের প্রতিভূ হিসেবে ভাবতে ভালোবাসেন। বোকাসোকা জনসাধারণের ওপর প্রভুত্ব বিস্তার করেন। রাজার আশ্রয়ে পায়ের ওপর পা দিয়ে জীবনের দিনগুলো অনায়াস আরামে কাটিয়ে দেন। মামার সান্নিধ্যে এই জীবনবোধ সেদিনের কিশোর নিকোলাসের মনের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছিল। বাবার অভাব অনেকটাই পূরণ করেছিলেন এই প্রগতিপন্থী মামা।

১৪৯২ খ্রিস্টাব্দে, উনিশ বছর বয়সে কোপারনিকাস ভরতি হয়েছিলেন পোল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রাকো বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি নানাদেশে ছড়িয়ে গড়েছিল। শুধু পোল্যান্ড থেকেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকেও দলে দলে কৃতী ছাত্ররা আসতেন এখানে ভরতি হওয়ার জন্য। ভরতি হওয়ার ছাড়পত্রটাও পাওয়া যেত না সহজে। অনেকগুলো কঠিন পরীক্ষার বেড়া টপকে তবেই এই বিশ্বখ্যাত অঙ্গনে প্রবেশের অনুমতি মিলত। ভরতির প্রতিটি পরীক্ষায় নিকোলাস অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। অধ্যাপকেরা তাঁর এই গুণপনায় হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। এখানে পড়তে পড়তে নিকোলাসের সঙ্গে পরিচয় হল বিশিষ্ট অধ্যাপক ব্রুদেকির। উনি ছিলেন অঙ্ক এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যাপক ; আধুনিক মনোভাবাপন্ন বিজ্ঞানী। ওঁনার সংস্পর্শে এসে নিকোলাসের জীবনাদর্শের রুদ্ধ দুয়ার গিয়েছিল খুলে। এতদিন পর্যন্ত সব বিষয়ে কেমন একটা ভাসা ভাসা অভিমত ছিল নিকোলাসের। ব্রুদেকিই তাঁকে প্রথম বললেন, বিজ্ঞান কখনও ‘যদি’, ‘কিন্তু' ইত্যাদি শব্দকে প্রাধান্য দেয় না। যা সুনিশ্চিত, তাকে প্রতিষ্ঠা করাই বিজ্ঞানের একমাত্র লক্ষ্য। তার জন্য যদি জীবনপাত করতে হয়, তাহলে তাও করতে হবে। তবুও কোনো অনুমানের পিছনে বিজ্ঞান ছুটবে না।”

পরবর্তীকালে কোপারনিকাস যে কারণে জগৎবিখ্যাত হন, সেই বিষয়েসংক্ষেপে বলা যেতে পারে, কৌতূহলের প্রথম বীজটি তাঙ্কুরিত করেছিলেন ওই ব্রুদেকি। ১৪৯২--নিকোলাস এলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমাদের ইতিহাসে সেই বছরটি কিন্তু আর একটি কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে। তোমরা হয়তো ভুলে গেছে, সেই বছরই ইতালীয় নাবিক কলম্বাস অতলান্তিকের ওপারে নতুন একটা ভূমিখণ্ড আবিষ্কার করেছিলেন। নাম দিয়েছিলেন—নতুন মহাদেশ। পরবর্তীকালে যা ‘আমেরিকা’ নামে আত্মপ্রকাশ করে।

সেদিনের এই আবিষ্কারের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। আমেরিকা আবিষ্কৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জ্ঞানভাণ্ডারের সীমানা একল৷ফে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছিল। দলে দলে মানুষ তখন চলেছেন আমেরিকার উদ্দেশে। সেখানকার বাতাসে নাকি টাকা উড়ছে, মাটির নীচে তাল তাল সোনা পোঁতা আছে— এমনই একটা গুজব রটে গিয়েছিল সর্বত্র। আর নতুন এই দেশে যাবার যে হিড়িক উঠল, তাতেই পালটে গেল মানুষের মন। নতুন সব কিছুকে আঁকড়ে ধরতে হবে, বস্তাপচা পুরোনো ভাবধারাকে বিদায় দিতে হবে—এমনই একটা ধারণা জন্মেছিল তরুণতর প্রজন্মের মধ্যে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন জ্যোতির্বিজ্ঞানকে আঁকড়ে ধরেছিলেন নিকোলাস কোপারনিকাস। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! মামার ইচ্ছে ছিল, ভাগনেটি হবে চিকিৎসাবিজ্ঞানী। আর্ত-আতুরদের সেবা করবে। তাই মনের ইচ্ছে চেপে নিকোলাসকে ভরতি হতে হল চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভাগে। মন দিয়ে পড়াশোনা করলেন তিনি। শেষ অব্দি উত্তীর্ণ হলেন ওই পরীক্ষাতে। মামার ইচ্ছে তিনি অপূর্ণ রাখেননি। ডাক্তারি পাশ করার পর আর্ত মানবাত্মার সেবাতে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি।

এবার বিদেশে যেতে হবে। তখন উচ্চশিক্ষার জগতে ইতালির খুবই নামডাক। মামার অনুমতি নিয়ে কোপারনিকাস এলেন ইতালিতে। ভরতি হলেন বোলগানা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনেক হয়েছে, এবার আর চিকিৎসা শাস্ত্র নয়। এবার আমি আমার মনের মতো বিষয় গণিত আর জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পড়ব এমনই একটা ইচ্ছে জাগল সেদিনের তরুণ নিকোলাস কোপারনিকাসের মনে।

তখনকার দিনে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গ্রিক মনীষীদের অবিসংবাদিত প্রাধান্য ছিল, আবার অঙ্কের ক্ষেত্রে প্রাচীন ধারাটি সযত্নে বহন করতেন আর পণ্ডিতরা। দুটি বিষয়ের মূল ধারার সঙ্গে পরিচিত হবার জন্য নিকোলাস সযত্নে গ্রিক এবং আরবি ভাষা অধ্যয়ন করলেন। এই জাতীয় আত্মনিবেদন এখন ভাবতেই পারা যায় না। এখনকার দিনে আমরা অনুবাদের মাধ্যমে চটজলদি সবকিছু শেখার চেষ্টা করি। কিন্তু নিকোলাস ছিলেন অন্য চরিত্রের মানুষ। যা শিখবেন একেবারে গোড়া থেকে। সেখানে কোনো ফাঁকি থাকবে না—এমনই একটা মনোবৃত্তি ছিল তাঁর।

সে এক দারুণ কর্মমুখর দিন। সারারাত বসে বসে পড়া মুখস্থ করছেন। বাইরের প্রকৃতি নিঝুম নিথর হয়ে গেছে। ঘুমন্ত মানুষের বিলম্বিত শ্বাসের শব্দ শোনা যাচ্ছে। রুমমেট কখন ঘুমিয়ে পড়েছে সেদিকে নজর দেবার মতো সামান্য অবসরটুকুও নেই কোপারনিকাসের। তিনি যে জানেন, জীবনের দিনগুলো কেমন করে হঠাৎ হঠাৎ ফুরিয়ে যায়। বার্ধক্য এসে সময়ের দরজাতে কড়া নাড়ে। তাঁকে যে অনেক কাজ করতে হবে। পৃথিবীতে মানুষ এসেছে সুনির্দিষ্ট কিছু কাজ করার জন্য। সেগুলো অসম্পূর্ণ রেখে আগে আগে চলে গেলে চলবে কেন?

এভাবেই ফুরিয়ে গেল নিকোলাস কোপারনিকাসের ছোটোবেলা আর ছাত্রজীবন। বোলগানা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ চলাকালীনই রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বান পেলেন তিনি। এরপর তিনি পরিচিত হয়েছিলেন এক বিশিষ্ট বিতর্কিত বিজ্ঞানী হিসেবে। সে বিষয়ে দু-চার কথা না বললে নিকোলাস সম্পর্কে আমরা সবটুকু জানতে পারব না।

তখনকার দিনে জ্যোতির্বিজ্ঞানের মূল ভিত্তি ছিল গ্রিসের দার্শনিক বিজ্ঞানী টলেমির একটি ধারণা। মানবসভ্যতার ঊষালগ্নে তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, পৃথিবী হল এই সৌরজগতের কেন্দ্রভূমি। তার চারপাশে সূর্য আছে। আছে চন্দ্ৰ, গ্রহ এবং অসংখ্য নক্ষত্রের পরিমণ্ডল। তারা নিজ নিজ কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে।

এই মতবাদকে সকলে অভ্রান্ত হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। অর্থাৎ তখনকার সব চিন্তাই হত এই মতবাদকে আশ্রয় করে। তার মানে জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রাথমিক পর্বেই আমরা একটা ভুল ধারণার বশবর্তী হয়েছিলাম। কেউ কিন্তু এগিয়ে এসে টলেমির এই ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার সাহস করেননি। টলেমি তখন প্রায় ভগবানের পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন।

নিকোলাসই প্রথম এই মতবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করলেন। তিনি সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের আবিষ্কার করলেন। এই তত্ত্বের সারকথা হল-সৌরমণ্ডলের সকলেই, এমনকি পৃথিবীও স্থির নয়। তারা সবাই নিজস্ব কক্ষপথে চলমান। সূর্যকে ঘিরেই চলে তাদের পরিক্রমণ।

আজ আমরা এই তত্ত্বটিকে নির্ভুল সত্য বলে মেনে নিয়েছি। কিন্তু যখন নিকোলাস এটি প্রথম প্রচার করেন, তখনকার অবস্থা ছিল একেবারে আলাদা। অচিরেই নিকোলাস চিহ্নিত হলেন দেশদ্রোহী হিসেবে। তাঁকে নানাভাবে তৎসনা করা হল। শুধু তাই নয়, শারীরিকভাবেও তাঁকে নিগৃহীত হতে হয়েছিল। শেষ অব্দি অবশ্য নিকোলাসের এই তত্ত্ব পণ্ডিতসমাজ মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু জীবদ্দশাতে তিনি এই মতবাদের স্বীকৃতি দেখে যেতে পারেননি। দেখেননি ১৫৮২ খ্রিস্টাব্দে কীভাবে পোপ গ্রেগরি ক্যালেন্ডার সংশোধন করেছেন সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের ভিত্তিতেই।

বিতর্কিত বিজ্ঞানী ছাড়াও তিনি ছিলেন এক বিশিষ্ট প্রবন্ধকার। ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দে পিতৃব্যের সহযোগীরূপে চার্চের কাজে যোগ দেওয়ার পর সপ্তম শতাব্দীর বিখ্যাত বাইজেনটাইন কবি থিয়োফিলাকটাস সিমাকোট্টা-র ৮৫টি কবিতা গ্রিক থেকে লাতিনে অনুবাদ করেছিলেন তিনি।

তাঁকে শুধুমাত্র আমরা একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলব না। একাধারে তিনি ছিলেন ভাষাবিদ, চিকিংসক, গণিতজ্ঞ, পুরোহিত, অর্থনীতিবিদ এবং রাজনীতিজ্ঞ।১৫৪৩ খ্রিস্টাব্দে এই প্রাণবন্ত জ্ঞানপিপাসু বিজ্ঞানী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন।

COMMENTS

নাম

Android,6,Computer,23,Internet,5,Mcq Seet,8,Mcq Test,2,Multimedia,3,Other,19,Poet,36,Police,1,Preparation,40,Quiz,2,Revolutionary,5,School,45,Scientist,4,Tet,6,Word,6,
ltr
item
Guides365: নিকোলাস কোপার্নিকাস এর ছেলেবেলা এবং তার আবিষ্কার Nicolaus Copernicus' childhood and his discoveries
নিকোলাস কোপার্নিকাস এর ছেলেবেলা এবং তার আবিষ্কার Nicolaus Copernicus' childhood and his discoveries
পোল্যান্ডের ভিস্টলা নদীর তীরবর্তী টোরুন নামক বন্দর-শহরে, আজ থেকে অনেক বছর আগে-১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দে জন্মে ছিলেন তিনি ।
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGRvBbSq0iiK50Bixz6qIDaZUBHOBwalhmtARYxRNfEYXsANA9hGWzrnznPL_IAkx6tew62Gws4NZ0kHz0iHdkKrPFJVJkzigxKhrp5C266ZoipO5M5ETF7_HukKtqtrFyxXhrKeqTfQSeB_06q3CXYqpE7QvOgs2USocTHP-kYeTi7AkPs4fY4juz/s1600/Nicolash.jpg
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiGRvBbSq0iiK50Bixz6qIDaZUBHOBwalhmtARYxRNfEYXsANA9hGWzrnznPL_IAkx6tew62Gws4NZ0kHz0iHdkKrPFJVJkzigxKhrp5C266ZoipO5M5ETF7_HukKtqtrFyxXhrKeqTfQSeB_06q3CXYqpE7QvOgs2USocTHP-kYeTi7AkPs4fY4juz/s72-c/Nicolash.jpg
Guides365
https://www.guides365.in/2022/03/Nicholas%20Copernicuss%20childhood%20and%20his%20discoveries.html
https://www.guides365.in/
https://www.guides365.in/
https://www.guides365.in/2022/03/Nicholas%20Copernicuss%20childhood%20and%20his%20discoveries.html
true
1642768254594531261
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy